অলক্ষ্যে আষাঢ়
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
❑
টুপটাপ ভিজছে
বাজখাই গলা ভেজার মতো
কারণ কার্তিকের চর রয়েছে
লাফাঙ্গা তলদেশে!
কতো দিন নেই বন্যা, বর্ষা, নেই সিডর সাইক্লোন.
নেই আষাঢ়ে কলতান!
প্রলম্বিত বেলার চেনা জানা সুরে
পল্লব প্রলয়ীত খড়কুটোর মতো ভেসে যায়
পল্লবিত পলল নিয়ে আসেনা পলির জমাট!
বারি মেঘ ঢাকে শৈবাল নীড়ে
বেঙাচির চৌচির যোনির ভিটেমাটি
রক্ষায় ব্যস্ত আষাঢ়!
জলধী আষাঢ় সংহিস মেলে ধরেছে
তলদেশের কম্পাস!
ফেরারি মন্থনে বৃত্ত চ্যুত স্তনপায়ী
মৌ-চোর মক্ষিকা!
ব্যাঙাচির হিল্লোল বায় কদম ছাট চুলে!
নিলামি দামের আষাঢ় দিয়েছে
মেঘ মল্লার রাগ!
পশ্চিম আকাশে তখনও উজানিয়া মেঘ!
সাধের কার্তিকের চরে কেবলই ধোঁয়াশা!
উত্তরের মেঘ পুবে যায়
বাউ বাতারির ভীড়ে দাঁড়িয়ে
খোঁপার কাঁটা খুলে মান্দারের বন!
কুয়োতলে জমাট শ্যাওলা
শ্যাওলা ভেজা রাত্রিরেই পা ফেলে
কাবুলিস্থানের উড়ন্ত উড়ুক্কু এলো মেঘ!
সে এলো বৃষ্টি মূখর করে!
চৌচির কার্তিকের খরায়!
ভস্মীভূত করে দিলো
ঝড় প্লাবিত প্লাবন আর জলোচ্ছ্বাসে!
ঝিরিঝিরি সন্ধ্যা কেবলই
শিশ্নের খোলা আবরণে
খরা কেবল ভিজছে কেবলই ভিজছে
পথ ঘাট প্রান্তর বেমালুম ভিজছে
বেলায় অবেলায় ভিজছে বাও বাতাসের
আষাঢ়ের দহনে!